home . about . others . শিক্ষনীয় গল্প
আসুন অশৌচ নিয়ে কিছু কথা জেনে নি
17-05-20 (05:13)
★আসুন! অশৌচ সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক★। অশৌচ দুই প্রকার যেমনঃ— ১৷ জননাশৌচঃ— পরিবারে কেউ জন্মগ্রহণ করলে যে অশৌচ হয়৷ তবে এটার প্রচলন ততটা নেই ৷ কারণ জন্ম হওয়াটা আনন্দদায়ক। ২৷ মরণাশৌচঃ— পরিবারে আপন জন কেউ মৃত্যুতে যে অশৌচ পালন করতে হয়৷ কারণ এটা দুঃখবোধ ও বেদনাদায়ক। ◆আজকের আলোচনা দ্বিতীয় অশৌচ নিয়েই◆ অন্তোষ্টিক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করা বৈদিক কর্তব্য বৃহদারন্যক উপনিষদ এ বলা হয়েছেঃ— "এতদ বৈ পরমং তপো যত্ প্রেতমপ্লবভ্যা দধতি।।" --যার বাংলা অনুবাদ এইরকম-- ■"মৃতদেহ বহন করে দাহস্থলে নিয়ে যাওয়া এবং দাহ করা পরম তপস্যা। (বৃহদারন্যক উপনিষদ ৫.১১.১)■ আমাদের মাঝে এখনো কুসংস্কার একটি কথা আছে যা আমাদের মাঝে বিরাজমান করে বলে থাকে তাই মৃতদেহ স্পর্শ করলে অপবিত্র বা অশৌচ হয়। কিন্তু আমাদের বৈদিক শাস্ত্রে কি আছে তা কি জানেন? আসুন জেনেনিঃ— মহর্ষি গৌতম তাঁর ন্যয়সুত্রে বলেছেন-- ■"শরীর দাহে পাতকাভাবাৎ" অর্থাৎ- " মৃতদেহ দাহ করলে শরীরে কোন পাপ বা অশৌচ দোষ লাগেনা।" (ন্যয়সুত্র ৩/১/৪)■ বলে রাখা ভালো দাহ করে বা দাহস্থানে গিয়ে শরীরে ময়লা লাগে তাই স্নান করা উচিত। কিন্তু শরীর অপবিত্র হয়েছে ভেবে স্নান করা উচিত নয়। ★এখন শুনুন কেন এই অশৌচ মানা হয় আর এর গুরুত্ব কোথায়!★— ●অশৌচ হলো হিন্দু রীতি মতে, সংস্কার অশৌচ শব্দের অর্থ হল শুচিতা বা পবিত্রতার অভাব। মাতা পিতা বা জ্ঞাতিবর্গের মৃত্যুতে হিন্দুরা অশৌচ করে৷ অর্থ্যৎ প্রিয়জনের মৃত্যুতে কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করে শ্রাদ্ধের উপযুক্ততা অর্জনই অশৌচ ৷ অশৌচ হিন্দুসমাজের একটি প্রচীন রীতিতে সংস্কার বলা হয়৷ ●পিতা মাতা বা আত্মিয় পরিজন মারা গেলে বা পরিবারে নতুন কেউ জন্ম নিলে অশৌচ পালন করা হয়। এই অশৌচ প্রজন্ম বা পুরুষ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন সময়ের জন্য কার্যকর হয়। প্রথম পুরুষ থেকে সপ্তম পুরুষ পর্যন্ত কার্যকর থাকে। অষ্টম পুরুষ থেকে অশৌচ্য কার্যকর থাকে না। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে কেন এই অশৌচঃ— পরিবারের কেউ মৃত্যু বরণ করলে তখন মানুষকে পারলৌকিক কাজ গুলি করতে হয়। মন বিক্ষিপ্ত থাকে। শোকাগ্রস্থ মন নিয়ে নিত্য কর্ম করা কঠিন হয়। এই ক্ষেত্রেও পারলৌকিক কাজকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শোকাগ্রস্থ পরিবার নিত্য কর্ম থেকে একেবারে মুক্ত থেকে একা থাকলে বা কোন কাজ ছাড়া থাকলে শোক আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সময় মৃত ব্যাক্তির সন্তানদের ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। পারলৌকিক কাজ ও ব্রহ্মচর্য পালন করতে করতে কোন দিকে সময় গড়িয়ে যায় সেটা বুঝা যায় না। পারলৌকিক কাজ ও ব্রহ্মচার্য পালন করতে করতে বিক্ষিপ্ত ও শোকাগ্রস্থ মন শান্ত হতে থাকে। এই সময় আত্মিয় পরিজনকেদেরকেও অশৌচ পালন করতে হয় এবং নিত্য কর্ম বন্ধ রাখতে হয়। ◆এখন আলোচনা করছি ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে --- আলোচ্য নিয়ম গুলি যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তখন মানুষ যৌথ পারিবারিক প্রথায় বিশ্বাসী ছিলেন। তারা সাত প্রজন্ম এক সাথে থাকতেন। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে মানুষকে একক পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। দেখা যায় যে যাদের দুই বা তার অধিক সন্তান এবং তাদের কেউ কেউ বাড়ির বাইরে আছেন বা তাদের গৃহ এখন আলাদা...তারা কি করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর হলো---- ★মৃত্যু সব সময় দুঃখের তাই সন্তান বা পরিবার পরিজন পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন মৃত্যু জনিত অশৌচ অবশ্যই সবাইকে মেনে চলতে হবে। আগমনে শিথিলতা থাকতে পারে কিন্তু প্রয়াণে কোন ভাবেই নয়। জয় রাধে।
0 comment of posting আসুন অশৌচ নিয়ে কিছু কথা জেনে নি
26

no comment
» একটি শিক্ষনীয় গল্প সবাই পরবেন
» দয়া করে সবাই পরবেন জয় হরিবল
» শ্রী কৃষ্ণ নীয়ে কীছু কথা
» আসুন অশৌচ নিয়ে কিছু কথা জেনে নি
Name:

Comment:

Smilies List
online: 0 | hits: 367x
© pvlcms